স্বামী - স্ত্রীর প্রতিটি সিদ্ধান্ত

 বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর প্রতিটি সিদ্ধান্তের জন্য যদি মা-বাবার কাছে যেতে হয়, তাহলে আপনি বিয়ে করছেনই বা কেনো?


আপনার বিয়ে করার বয়স হয়েছে মানে সিদ্ধান্ত নেবার বয়স হয়েছে। কিন্তু, বিয়ের পর প্রতিটি সিদ্ধান্ত যদি মা-বাবাকে জিজ্ঞেস করে নিতে হয়, তাহলে আপনি স্বামী হিসেবে স্ত্রীর কাছে মর্যাদা হারাবেন। 


স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাবেন কিনা, স্ত্রী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে বারবার তাকে বলা- ‘মাকে জিজ্ঞেস কইরো’, স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে যাবার আগে বাবার অনুমতি নেয়া লাগলে এটার ফল আসলেই নেতিবাচক। সাময়িক মনে হতে পারে কোনো অসুবিধা তো হচ্ছে না। কিন্তু, আপনার স্ত্রীর মনে ক্ষোভ জন্ম নেয়, আপনার প্রতি তার সম্মানবোধ উঠে যায়। 


মাঝেমধ্যে তার কিছু ইচ্ছে করলে আপনি বলেন- “দেখি মা কী বলে।” তখন হয়তো সে কিছু বলে না। কিন্তু, মা যদি ‘না’ করেন, মায়ের ওপর না, বরং আপনার ওপরই তার রাগ হয়। 


আপনি পারিবারিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে অবশ্যই মা-বাবার পরামর্শ নিবেন, তাদেরকে শ্রদ্ধা করবেন। কিন্তু, স্বামী হিসেবে আপনার যে কর্তৃত্ব আছে, সেই কর্তৃত্বের চর্চা আপনিই করুন; আপনার মা-বাবাকে করতে দিবেন না। স্ত্রীর কোনো আবদার নাকচ করতে চাইলে তাকে বুঝিয়ে আপনিই নাকচ করুন। নিজের মা-বাবাকে ইনভলভ করে যখন দাম্পত্য জীবনের সিদ্ধান্ত নিবেন, কোনো এক সিদ্ধান্ত ভুল হলে স্ত্রী আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। 


ঠিক তেমনি, স্ত্রীর বেলায়ও। 


স্ত্রীরা বেশিরভাগ কথা মায়ের সাথে শেয়ার করে। স্বামী কী করলো, কী বললো, স্বামীকে এটা কীভাবে বলবে, স্বামীর কাছে কীভাবে চাইবে এগুলো নিয়ে সে মায়ের সাথে কথা বলে। মা-ও খুব আগ্রহ নিয়ে মেয়েকে বুদ্ধি দেন। 


বিয়ের পর গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছাড়া দৈনন্দিন এসব ব্যাপারে মেয়ের মা যতো ইনভলভ হবে, পারিবারিক অশান্তি ততো বাড়বে।


মা যদি জিজ্ঞেস করে, “এটা বলার পর জামাই কী বললো?” স্ত্রীর তখন স্পষ্টভাবে বলা উচিত- “সরি মা, ও আমাকে কী বলেছে সেটা তোমাকে বলতে পারবো না।” 


একজনের স্ত্রী হিসেবে স্বামীর প্রতি আপনার এই আত্মসম্মান থাকা উচিত। 


আপনার দাম্পত্য জীবন নিয়ে নিজের মা-বাবার অতিউৎসাহ দেখলে তাদেরকে সম্মানের সাথে নিরুৎসাহিত করুন।

Comments

Popular posts from this blog

___গল্প প্রবাসীর_জীবন ____